ডেঙ্গু জ্বর ভয়ঙ্কর একটি ভাইরাস জনিত জ্বর হলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এডিস মশার বৈশিষ্ট্য, চলাফেরার সময়, রোগের লক্ষণ এবং করণীয় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে আমাদের করণীয়-
১) সকল স্থাপনা অফিস আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে যাতে দিনের সূর্যালোকে মশা লুকাতে না পারে।
২) মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধে জমে থাকা পানির উৎস বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) যে সকল জায়গায় মশা বংশ বিস্তার করে এবং পূর্ণবয়স্ক মশা লুকিয়ে থাকে সেখানে নিয়মিত মশক নিধন কীটনাশকের স্প্রে অব্যাহত রাখতে হবে। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের জন্য পানির পৃষ্ঠের উপর এ কেরোসিন বা অন্য কোন তরল পদার্থ দিয়ে সারফেস ফিল্মিং পদ্ধতি অনুসরণ করলে অক্সিজেনের অভাব এর সকল লার্ভা মারা যাবে।
৪) যেহেতু এডিস মশা সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় এর পূর্বে মানুষকে কামড়ায় তাই উল্লেখিত সময়ে বাইরে না যাওয়াই ভালো তবে কেউ বাইরে থাকলে হাত পা ঢাকা যায় এমন জামা কাপড় সহ প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫) যে কোন রোগের জরুরি রক্তের প্রয়োজন হলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্ত কোনোভাবেই গ্রহণ করা যাবে না।
৬) ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে যে নিডল ও সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়েছে তা কোনোভাবেই অন্য কারো শরীরে ব্যবহার করা যাবে না।
৭) ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়াবেন না কারণ এটি সংক্রামক রোগ নয় এমনকি বাতাসের মাধ্যমে রোগ ছড়ায় না।
৮) বাচ্চাদের মাতৃদুগ্ধ পান করান এমন কোন মায়ের ডেঙ্গু জ্বর পজিটিভ হলে নির্দিষ্ট সময় বাচ্চাকে মাতৃদুগ্ধ পান না করানোই উত্তম।
৯) পরিবারের কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য কারো যাতে না ছড়ায় সেজন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে মশারির ভেতরে রাখতে হবে।
১০) মনে রাখবেন ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত মশা একজনকে কামড়ে তাকে আক্রান্ত করে পরবর্তী আরেকজনকে কামড়ে আক্রান্ত করতে ৫-৭ দিন সময় লাগে এবং এর মাঝখানের সময়ে ঐ মশা যদি কাউকে কামড়ায় তার ডেঙ্গু হবে না।
১১) ব্যতিক্রম চরিত্রের ডেঙ্গু মশা যাদের রক্তে অধিক গ্লুকোজ এবং আমিষ জাতীয় পদার্থ রয়েছে তাদের রক্ত পছন্দ করে। তাই আপনার খাদ্য গ্রহণে ধর্মসম্মত পরিমিত আহার এ অভ্যস্ত হন।
জরুরী প্রয়োজনে সহায়তা পেতে পুলিশের ৯৯৯ এ ফোন দিন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস